Aller au contenu principal

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত একটি অ-লাভজনক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক উন্নয়নে বিভিন্ন সংস্থা ও রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত দূর্নীতি পর্যবেক্ষণপূর্বক সাধারণের কাছে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। বিশ্বব্যাপী দূর্নীতির তুলনামূলক চিত্র 'দূর্নীতি ধারণা সূচকের' মাধ্যমে এটি বার্ষিকভিত্তিতে প্রকাশ করে থাকে। জার্মানীর বার্লিন নগরীর সদর দফতরে অবস্থিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ৭০টিরও বেশি দেশে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।

ইতিহাস

১৯৯৩ সালের মে মাসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক পিটার ইগেন এর উদ্যোক্তা। হ্যান্সজর্গ এলশর্স্ট, জো গিথোনগো, ফ্রিট্‌জ হেইমান, মাইকেল হার্শম্যান, কামাল হোসেন, ডোলোর্স এল. এস্পানোল, জর্জ মুডি স্টুয়ার্ট, জেরী পারফিট, জেরেমী পোপ এবং ফ্রাঙ্ক ভোগল - প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে 'বোর্ড মেম্বার' হিসেবে ছিলেন। পিটার ইগেন টিআইয়ের চেয়ারম্যান এবং জেরেমী পোপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ছিলেন।

১৯৯৫ সালে দূর্নীতি ধারণা সূচক বা সিপিআইয়ের উন্নয়ন ঘটায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। সিপিআইয়ের র‌্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীদের উপর পরিচালিত জরীপের মাধ্যমে এক-একটি দেশের দূর্নীতি চালচিত্র ফুঁটে উঠে। 'দূর্নীতি ধারণা সূচক' ধারাবাহিকভাবে প্রতি বৎসর প্রকাশিত হয়। দূর্বল চিন্তাধারা এবং নিরপেক্ষতার অভাব হেতু উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছ থেকে প্রায়শঃই ও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়ে থাকে। সাধারণতঃ দূর্নীতিকে চিহ্নিতকরণ ও সরকারের পরিচালনা পদ্ধতির বিব্রতকর ঘটনাগুলোই এটি ব্যাপক আকারে প্রকাশ করে।

১৯৯৯ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল 'ব্রাইব পেয়ার্স ইনডেক্স' বা বিপিআইয়ের মাধ্যমে দেশগুলোর র‌্যাংকিং করেছিল। এতে দেশগুলোর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুষকে সাধারণ ঘটনা হিসেবে নিজেদের মাঝে ঠাঁই করে নিয়েছে।

বিষয়াদি নিয়ে সংগঠিত হয়েছিল। এর আন্তর্জাতিক সচিবালয় জার্মানীর বার্লিনে অবস্থিত। মে, ১৯৯৩ সালে একটি অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জার্মানীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন টিআই একটি আন্তর্জাতিক বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এর অবকাঠামো গড়ে উঠেছে বলে সংস্থাটি দাবী করেছে। টিআই সংগঠন সম্পর্কে বলা হয় যে,

১৯৯৫ সাল থেকে টিআই বার্ষিকভিত্তিতে দূর্নীতি ধারণা সূচক (সিপিআই) প্রকাশ করে আসছে। এছাড়াও এটি বৈশ্বিক দূর্নীতি প্রতিবেদন, বৈশ্বিক দূর্নীতির পরিমাণ এবং ব্রাইব পেয়ার্স ইনডেক্স বার্ষিকী আকারে প্রকাশ করে।

টিআই কোনরূপ নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতি কিংবা ব্যক্তিগত দূর্নীতি তদন্তের জন্য দায়বদ্ধ নয়। এটি দূর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামাজিক সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সাথে কাজ করে সচেতন করছে। টিআইয়ের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে - দূর্নীতির বিরুদ্ধে এর অবিচ্ছেদ্য এবং সংঘর্ষপূর্ণ অবস্থান করা।

দূর্নীতি ধারণা সূচক

বিশ্বব্যাংকের দূর্নীতি সূচকের পাশাপাশি দূর্নীতি ধারণা সূচকও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে দূর্নীতির পরিমাপক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ সূচকের আলোকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসায়ী এবং বিশ্লেষক - উভয়কেই দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে থেকে দূর্নীতির বিস্তৃতি কতটুকু হয়েছে এ বিষয়ে জরীপ কার্য পরিচালনা করে। প্রকৃত দূর্নীতির ঘটনাগুলো এক দেশ থেকে অন্য দেশের আইন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ভিন্নতা থাকায় সঠিকভাবে কার্যকর করা যায় না।

শীর্ষস্থানীয় দূর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা

বৈশ্বিক তালিকা

বৈশ্বিক অবস্থান

সার্কভূক্ত দেশের অবস্থান

প্রতিযোগিতা ও দূর্নীতি

নভেম্বর, ১৯৯৮ সালে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং এর সাথে দূর্নীতির সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রাগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে 'আন্তর্জাতিক দূর্নীতিবিরোধী সম্মেলন' অনুষ্ঠিত হয় তিন বছর পর।

"রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং প্রতিষ্ঠানের অ-সম্পৃক্ততাঃ দেশের অলিগলিতে পার্থক্য" শীর্ষক মারা ফ্যাসিও (পুরদিউ ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র) কর্তৃক একটি প্রতিবেদন তৈরী করা হয়।

Giuseppe Zanotti Luxury Sneakers

বহিঃসংযোগ

  • ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
  • ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

  • ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

Text submitted to CC-BY-SA license. Source: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল by Wikipedia (Historical)


Langue des articles



Quelques articles à proximité

Non trouvé